২৪ঘণ্টা অনলাইন : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বৃহস্পতিবার দুবাই যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার শিরোপ জেতার লক্ষ্য নিয়েই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর। এর আগে বৈশ্বিক আসরে কখনো ফাইনাল খেলা হয়নি লাল সবুজ দলের। তবে এবার চোখটা যে ট্রফিতেই, তা সরাসরি জানিয়ে দিলেন টাইগার অধিনায়ক। বেশ জোর দিয়েই জানালেন যে শিরোপা জয়ের বিশ্বাস ও সামর্থ্য দলের সবারই আছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। বুধবার ছিল আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন ও সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলন। সেখানে শান্তর কাছে তাদের লক্ষ্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হবার লক্ষ্যে যাচ্ছি।’ টাইগার অধিনায়ক যোগ করেন, ‘আমার কাছে এমন (লক্ষ্য ঠিক করায় বাড়তি চাপ) কিছু মনে হয় না। এখানে আটটি দল আছে, সবাই চ্যাম্পিয়ন হবার যোগ্য। এই আটটি কোয়ালিটি দল। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলের এই সক্ষমতা আছে।’
এই লক্ষ্য দলকে বাড়তি চাপে ফেলবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় না কেউ এটি অনুভব করে। কারণ, সবাই এটি চাচ্ছে, সবাই মনেপ্রাণে এটিই চায়, সবাই এটিই বিশ্বাস করে যে আমাদের ওই সক্ষমতাটা আছে। আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন আমরা জানি না। আমি মনে করিম আমরা ওইভাবে মেহনত করছি, সততার সঙ্গে কাজ করছি। এবং প্রত্যেক খেলোয়াড় বিশ্বাস করি যে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’ একদিন আগে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানান যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির লক্ষ্যে দলের সেরা প্রস্তুতি হয়নি। তবে শান্ত মনে করেন কথাটির ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না কোচ এমন কিছু বুঝিয়েছে। সংস্করণের দিক থেকে একটু ভিন্নতা তো থাকেই। কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানরা যেভাবে খেলেছে, টুর্নামেন্টের উইকেটটা ভালো ছিল। এর চেয়ে ভালো উইকেট থাকবে।’
আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যাত্রা। চোটের কারণে ভারতীয় দল থেকে ইতিমধ্যে ছিটকে গেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। পরের ম্যাচে ২৪শে ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। তিনদিন পর স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মিরপুরের হোম ক্রিকেটে চলেছে নিবিড় অনুশীলন। দুবাই পৌঁছে সেখানেও একটি বিশেষ অনুশীলন ক্যাম্প করবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আর সেই ক্যাম্পের জন্য স্কোয়াডের বাইরের তিন ক্রিকেটারকেও বহরে যুক্ত করা হবে। তারা হলেন, পেসার হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। বাংলাদেশের মূল স্কোয়াডে পেসার রয়েছেন চারজন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আসরের জন্য ব্যাকআপ পেসার রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ করে ম্যাচের আগে ব্যাটারদের অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় বোলার দরকার। সেজন্যই স্কোয়াডের বাইরে থাকা তিন পেসারকে নিয়ে যাচ্ছে দল। বিসিবির এক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়ে বলেছেন, ‘দুবাইতে একটা ক্যাম্প হবে, সেখানে নেটে ব্যাটসম্যানদের বল করার প্রয়োজন হবে। স্কোয়াডে থাকা বোলাররা টানা বল করতে পারবেন না। তাই স্কোয়াডের বাইরে থেকে তিনজন পেসার নেওয়া হচ্ছে।’ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। সবশেষ সিরিজে উইন্ডিজের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, তার আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে। এমন পরিস্থিতিতেও অবশ্য কোচ ফিল সিমন্স আশায় বুক বেঁধেছিলেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ ও একাধিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং মনে করেন, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ থেকে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে আফগানিস্তান। পাকিস্তান ও দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কঠিন সময় কাটাতে হতে পারে টাইগারদের।
২৪ঘণ্টা/আসো