শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

সরাসরি: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাংলাদেশের বিদায়, সেমিতে নিউ জিল্যান্ড

প্রকাশিত - ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫   ১১:৪০ পিএম
webnews24

২৪ ঘণ্টা অনলাইন :  বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউ জিল্যান্ড। এদিকে টানা দুই হারে বিদায় ঘণ্টা বাজলো শান্তদের। ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে কিউইরা। সর্বোচ্চ ১১২ রান করেন রাচিন। ৫৫ রান আসে লাথামের ব্যাট থেকে। ফিলিপস ২১ ও ব্রেসওয়েল ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন, রানা, মোস্তাফিজ ও রিশাদ।

লাথামের বিদায়

ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি লাথাম। মাহমুদউল্লাহর সরাসরি থ্রোতে ৫৫ রানে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ৩টি চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। ক্রিজে ফিলিপসের সঙ্গী হলেন ব্রেসওয়েল। ৪৩ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৩। জয় থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে।

রাচিনের শতকে ভর করে জয়ের পথে নিউ জিল্যান্ড    

নব্বইয়ের ঘরে যখন তখন রানার হাতে জীবন পেয়েছিলেন রাচিন। নিচুতে আসা ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি মিরাজ। এরপর আর সুযোগ দেননি এই কিউই। ৯৫ বলে দেখা পান শতকের। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১টি চার ও ১টি ছয়ে। কনওয়ের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ার পর লাথামকে নিয়ে রাচিন জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিদূর এগোতে পারেননি। রিশাদের ঘূর্ণিতে ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার ইমনের হাতে। ১০৫ বলে ১১২ রান করেন তিনি। রাচিনের আউটের পর ফিফটির দেখা পান লাথাম। ক্রিজে তার সঙ্গী ফিলিপস।

রাচিন-ল্যাথাম জুটি ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে:
৭২ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশ অবশ্য কিছুটা হলেও সেখানে চেপে ধরেছিল নিউ জিল্যান্ডকে। কিন্তু এরপর রাচিন রবীন্দ্র ও টম ল্যাথামের চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের ওপর চেপে বসেন। এই জুটি ইতোমধ্যে দলীয় সংগ্রহে ৮৮ রান যোগ করেছে। রাচিন ৯০ ও ল্যাথাম ৩১ রানে ব্যাট করছেন। ৩১ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৬০ রান ৩ উইকেটে। জিততে ১১৪ বলে প্রয়োজন ৭৭ রান।

রাচিনের ফিফটির পর নিউ জিল্যান্ডের সেঞ্চুরি:
তাসকিনকে চার মেরে ফিফটির দেখা পান রাচিন। ৬টি চারের মারে সাজানো ছিল ইনিংসটি। দল যখন বিপদে তখন কনওয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে হাল ধরেন। কনওয়ে ফিরলেও লাথামকে সঙ্গে নিয়ে রাচিন খেলে যাচ্ছেন সাবলীলভাবে। তার ফিফটির পর ২১.১ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ হয় কিউইদের।

জুটি ভেঙে মোস্তাফিজের ব্রেক থ্রু

রাচিনকে নিয়ে ফিফটির জুটি গড়ে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন কনওয়ে। ধাক্কা সামলে পালটা আক্রমণে রানের চাকা সচল রাখেন। অবশেষে মোস্তাফিজ জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দেন বাংলাদেশ শিবিরে। আউট সাইড অফের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ৩০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ক্রিজে রাচিনের সঙ্গী লাথাম।

ধাক্কা সামলে কিউইদের পালটা আক্রমণ     

শুরুতে ২ উইকেট হারানোর পর রাচিন-কনওয়ের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়ে পালটা আক্রমণ করছে নিউ জিল্যান্ড। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ২০ রান নিতে পারে কিউইরা, এরপর ৪ ওভারে ৩৪ রান নিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান করে। কনওয়ে-রাচিন এগোচ্ছেন দারুণভাবে। দুজনের জুটি ইতিমধ্যে ফিফটি পার করেছে। ৫৭ বলে জুটির ফিফটি হয়।

রানার গতিতে পরাস্ত উইলিয়ামসন     

রানার ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলে পরাস্ত কেন উইলিয়ামসন। বল পিচ করে বেরিয়ে যাচ্ছিল সিক্সথ স্ট্যাম্প দিয়ে। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করেছিলেন, বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে যায়। ৪ বলে ৫ রান করেন উইলিয়ামসন। ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় কিউইরা। ক্রিজে কনওয়ের সঙ্গী লাথাম।

প্রথম ওভারেই তাসকিনের আঘাত    

প্রথম ওভারেই তাসকিনের আঘাত! ওভারের প্রথম পাঁচ বল ডট দেন উইল ইয়ং। শেষ বলে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাট-প্যাড ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে উইকেটে। শূন্য রানে ফেরেন ইয়ং। বাংলাদেশ উইকেটের দেখা পায় কিউইদের রানের খাতা খোলার আগেই। ক্রিজে কনওয়ের সঙ্গী উইলিয়ামসন।

শান্ত-জাকের-রিশাদে ২৩৬ পর্যন্ত গেল বাংলাদেশ    

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন ও তাসজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে কোনোক্রমে ২৩৬ পর্যন্ত গেল বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৩৬ করেছে। জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে নিউ জিল্যান্ডকে করতে হবে ২৩৭ রান।

ব্যাট হাতে শান্ত ১১০ বলে ৯ চারে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। জাকের আলী ৪৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। রিশাদ ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান। আর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রান।

বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে সফল মাইকেল ব্রেসওয়েল। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। উইল ও’রুর্কে ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৮ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসন।

নবম উইকেট হারাল বাংলাদেশ:
শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হলেন তাসকিন আহমেদ। কাইল জেমিসনের করা লেগ কাটারে পরাস্ত হন তাসকিন। বল ওঠে যায়। সেটি তালুবন্দি করেন ডেভন কনওয়ে। ২০ বলে ১ চারে ১০ রান করে ফেরেন এই পেস তারকা।

রান আউটে কাটা পড়ল জাকেরের ইনিংস:
৪৯তম ওভারের প্রথম বলে রান আউটে কাটা পড়েন জাকের আলী। ৫৫ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস খেলে যান। তিনি আউট না হলে বাংলাদেশের রান আরেকটু বাড়তে পারত।

২৫ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে রিশাদ:
রিশাদ এসে রানের চাকা সচল করেন। ছয়-চার হাঁকিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুই ছক্কা এক চারে ২৫ বলে ২৬ রান করেন তিনি। রিশাদের আউটের পর ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তাসকিন।

১১০ বলে ৭৭ রান করে শান্তর বিদায়:
পরপর তিন উইকেটের পতনের পর জাকের আলীকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। দুজনে এগোতে থাকেন। জুটি যখন ফিফটির কাছে তখন ওউরকের বলে পুল করতে গিয়ে বিদায় নেন শান্ত। তার ব্যাট থেকে আসে ১১০ বলে ৭৭ রান। শান্তর আউটে ভাঙে ৬৭ বলে ৪৫ রানের জুটি। ক্রিজে জাকের আলির সঙ্গী রিশাদ।

স্লগ সুইপে মুশফিকের বিদায়     

পরপর তাওহীদ-মুশফিককে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এবার মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন সাজঘরে। ২১ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারালো গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট।  ব্রেসওয়েলকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করেন। বল উঠে যায় উপরে। শর্ট থার্ডে দারুণ ক্যাচ নেন ওউরকে। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী জাকের আলী।

২ রানের ফিরলেন মুশফিক, শান্তর ফিফটি     

ভারতের বিপক্ষে ক্রিজে এসেই গোল্ডেন ডাক। তৈরি করে দিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের মঞ্চ। মুশফিকুর রহিম এবারও পারলেন না। ৫ বলে ২ রান করেন মাত্র। ব্রেসওয়েলকে অহেতুক স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে বিদায় নেন। ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ। মুশফিকের আউটের পরের ওভারে ফিফটির দেখা পান শান্ত। ৭১ বলে ৮টি চারের মারে ইনিংসটি সাজান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

২৪ বলে ৭ রানে তাওহীদের বিদায়    

শুরু থেকে দেখেশুনে খেলে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাওহীদ। বড় কোনো শট খেলার চেষ্টা করেননি। ততক্ষণে বল খেলে ফেলেন ২৩টি। এরপর ব্রেসওয়েলকে কাভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মাররে গিয়ে ধরা পড়েন উইলিয়ামসনের হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ৭ রান। বাংলাদেশ ৯৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারায়। তার আউটের পরই ২১.১ ওভারে বাংলাদেশ শতরানের ঘরে পা রাখে। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মুশফিক।

১৪ বলে ১৩ রানে মিরাজের বিদায়    

তিনে নেমে ব্যর্থ মিরাজ। এসেই ছক্কা  হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন। ব্যাট হাতে দেখাচ্ছিল সাবলীল। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। উইলিয়াম ওউরকের বলে লেগ সাইডে ক্যাচ তুলে দেন। ১৪ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হৃদয়।

দারুণ শুরুর পর সাজঘরে তানজীদ    

শুরু থেকে দারুণ খেলছিলেন তানজীদ তামিম। দুই ছয় এক চারে সাজানো ইনিংস দেখাচ্ছিলো সম্ভাবনা। ব্রেসওয়েলের ঘূর্ণিতে হঠাৎ ছন্দপতন। মিডউইকেটে খেলতে চেয়েছিলেন কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড়। বা দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন উইলিয়ামসন। ২৪ বলে ২৪ রান করেন এই ওপেনার। ৪৫ রানে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে আসে ৫৮ রান।  ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মিরাজ।

শান্ত-তানজীদে বাংলাদেশের সতর্ক শুরু    

শান্ত-তানজীদের ব্যাটে বাংলাদেশের সতর্ক শুরু। তানজীদ বাউন্ডারির দেখা পেলেও শান্ত এখনো দেখা পাননি। এক প্রান্তে তিনি থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন। সৌম্য বাদ পড়ায় ওপেনিংয়ে তানজীদের সঙ্গী হন শান্ত। তানজীদ ১৩ ও শান্ত ৩ রানে ব্যাট করছেন।

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ    

দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরুর পর রাওয়ালপিন্ডিতে এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। খেলাটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়।

একাদশে দুই পরিবর্তন     

বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে দুই পরিবর্তন এনে। কিউইদের বিপক্ষে বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার ও তানজীম হাসান সাকিব। একাদশে এসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাহিদ রানা। এই প্রথম আইসিসির কোনো আসরে খেলতে নামবেন রানা।

বাংলাদেশ একাদশ    

তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, মোস্তাফিজুর রহমান।

নিউজিল্যান্ড একাদশ     

উইল ইয়ং, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্র, টম ল্যাথাম (ডাব্লু), গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন, উইলিয়াম ওউরকে।

কী বলছে পরিসংখ্যান     

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড মুখোমুখি হয় একবার। শেষ হাসি হাসে তারাই। সব মিলিয়ে একুশ দেখায় লাল সবুজের জয় মাত্র তিনটিতে। এবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে ছাড় দিতে চায় না বাংলাদেশ।

পিন্ডি জয়ের অনুপ্রেরণা     

রাওয়ালপিন্ডির মাটিতে পাকিস্তানকে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্টে ধবলধোলাই করে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সেই মাঠেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এবার লাল সবুজের দলের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের আশা এই অর্জন কিউইদের বিপক্ষে অনুপ্রেরণা দেবে।

 “আশা করি কাজ করবে। পাকিস্তানে এসে পাকিস্তানকে হারানো কোনো সহজ কাজ নয়। এটা তাদের (বাংলাদেশ ক্রিকেট দল) অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। আশা করি, এই মাঠ নিয়ে তাদের চিন্তার জগতে বিষয়টি প্রভাব রাখবে।”

তিনশর বেশি রানের সক্ষমতা     

এবার দেশ, ভেন্যুর সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে প্রতিপক্ষও। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির যে উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ, সেখানে রীতিমত হয় রান উৎসব। শান্তরা রাওয়ালপিন্ডির এই উইকেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রান উৎসবে শামিল হতে পারবেন তো? নাকি আবারও বিব্রতকর ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়বেন?

“হ্যাঁ, শেষ পাঁচ ম্যাচের কয়েকটিতে আমরা তিনশর বেশি রান করেছি। আমাদের এটি করার সক্ষমতা রয়েছে। শেষ ম্যাচে আমরা ভালো শুরু করতে পারিনি। দুইশ রানে থেমেছি। আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি তাহলে তিনশর বেশি রান হবে” -বলেছেন সিমন্স।

আটঘাট বেধেই নামছে কিউইরা     

জয় দিয়ে এক পা সেমিতে রাখা নিউ জিল্যান্ড মাঠে নামছে আটঘাট বেঁধেই। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার বলেন, “হ্যাঁ, বাংলাদেশের জন্য আমাদের কয়েকটি পরিকল্পনা আছে, কিন্তু আমি মনে করি আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং দেখতে হবে উইকেট কী করে। যদি এটি বেশ ফ্ল্যাট হয় তবে, আমি মনে করি, করাচিতে যা করেছি এখানেও তা করতে হবে।”

২৪ ঘণ্টা/এআর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন