শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

ভারতের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

প্রকাশিত - ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫   ১১:৩০ পিএম
webnews24
অনলাইন ডেস্ক

২৪ঘণ্টা অনলাইন : চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রান নিয়ে লড়াইয়ে নামে বাংলাদেশ। অল্প পুঁজি নিয়েও ভালোই লড়াই করেছেন স্পিনাররা। তবে শেষ হাসিটা ভারতই হেসেছে। শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া।  

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে থামে টাইগাররা। জবাবে ২১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ভারত।

এদিন ভারতকে দারুণ শুরু এনে শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান তোলেন দুজনে। ৯.৫ ওভারে রোহিতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সাতটি চারে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন ভারত অধিনায়ক। ১১২ রানে দ্বিতীয় সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৩৮ বলে ২২ রান করা বিরাট কোহলিকে ফেরান রিশাদ হোসেন।

১৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। শ্রেয়াস আইয়ারকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭ বলে ১৫ রান করেন শ্রেয়াস। দলীয় ১৪৪ রানে অক্ষর প্যাটেলকে ফেরান রিশাদ। প্যাটেল ১২ বলে ৮ রান করেন। পরে গিল ও লোকেশ রাহুলের ৯৭ বলে ৮১ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত। নয়টি চার ও দুই ছক্কায় গিল ১২৯ বলে ১০১ রান করেন, এক চার ও দুই ছক্কায় রাহুল করেন ৪৭ বলে ৪১ রান।

বোলারদের মধ্যে রিশাদ দুই উইকেট নেন। তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারকে হারায় টিম বাংলাদেশ। ৫ বল খেলে রানের খাতা না খুলেই মোহাম্মদ শামির ওভারে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের গ্লাভসে ধরা পড়েন সৌম্য । তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলকে হতাশ করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। সৌম্যের পথ ধরেই ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তানজিদ তামিম। তবে চারে নেমে ব্যর্থ হন মিরাজও। শামির ওভারে স্লিপে শুবমান গিলের হাতে ধরা পড়েন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে ১০ বলে ৫ রান করেছেন তিনি।

এদিকে অষ্টম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বল খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েন তামিম। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে সামান্য টার্ন করে বের হয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে যান তিনি। কিন্তু ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় রাহুলের হাতে। ২৫ বলে ২৫ রান করেছেন এই ওপেনার।

এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু প্রথম বলেই ডিফেন্স করতে গিয়ে রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন সাজঘরে। 

এরপর হৃদয়-জাকের জুটি দলের হাল ধরেন। এই জুটিতে আসে ১৫৪ রান। দলীয় ১৯৮ রানের মাথায় শামির বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৬৮ রানে ফিরে যান জাকের আলী।

১৮ রান করে দলীয় ২১৪ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রিশাদ হোসেন। হর্ষিত রানারি বলে হার্দিক পান্ডিয়া হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। অন্যদিকে শামির বলে বোল্ড হয়ে শূন্য হাতে ফিরে যান তানজিম হাসান। 

শেষ পর্যন্ত তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান বাড়ান তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ৪৯ তম ওভারের প্রথম বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। ১১৪ বলে সেঞ্চুরি করার পথে ছয়টি ৪ ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। 

অন্যদিকে ৩ বলে কোনো রান তুলতে পারেননি তাসকিন। শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে শামির পঞ্চম শিকার হন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে স্ট্রাইক প্রান্তে আসেন হৃদয়। প্রথম তিন বল ডট দিলেও চতুর্থ বলে শামির হাতে ক্যাচ তুলে দেন হৃদয়। শেষ পর্যন্ত ১১৮ বলে ১০০ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাওহীদ হৃদয়কে। আর ৪৯.৪ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২২৮ রানে।

২৪ঘণ্টা/এএ/

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন