শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

একুশে পদক গ্রহণ সাবিনাদের অধিনায়কবিহীন দল ঘোষণা

প্রকাশিত - ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫   ০৭:৪৬ পিএম
webnews24

২৪ঘণ্টা অনলাইন :  দল হিসেবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল একুশে পদকে ভুষিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের হাত থেকে এই পুরস্কার নেন সাবিনা খাতুন ও তার দল। দাওয়া থাকলেও দলটির কোচ পিটার বাটলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। অন্যদিকে সাবিনাদের ছাড়াই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দল ঘোষনা করা হলেও অধিনায়কের নাম জানানো হয়নি। ২০২৪ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক পেয়েছিল গত ৬ ফেব্রুয়ারি। চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে সেই পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে এই পদক গ্রহণ করেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দাও পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সর্বশেষ সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী দলের অন্য ফুটবলাররাও।

পুরস্কার শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় সাবিনা বাফুফের সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল, বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আকতার কিরণসহ ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সাফজয়ী সেই দলে ছিলেন রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।

প্রতিযোগিতায় সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছিলেন রূপনা পাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা পেয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। বাংলাদেশ সবশেষ নারী সাফ জিতেছিল কোচ পিটার বাটলারের অধীনে। তবে কদিন আগে বাটলারের অধীনে সাফজয়ী ১৮ নারী ফুটবলার অনুশীলন বর্জনের পাশাপাশি গণ-অবসরের হুমকিও দিয়েছিলেন। এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই বাংলাদেশ নারী দল পায় একুশে পদকের পুরস্কার। এদিকে সাবিনাদের ছাড়াই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দল ঘোষণা করা হয়েছে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। অনুমিতভাবেই এই দলে জায়গা পাননি সাবিনা খাতুনসহ বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়ে বিশ্রাম চেয়েছেন তাঁরা। গত বছরের অক্টোবরে সাফ জয়ের পর এবারই প্রথম মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ২ মার্চ হবে ম্যাচ দুটো।

বাংলাদেশ দল আমিরাতে পা রাখবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। ২৩ জনের দলে সবশেষ সাফজয়ী দলের ৭ ফুটবলার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরা হলেন, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, কোহাতি কিসকু, আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, আইরিন খাতুন ও শাহেদা আক্তার রিপা। প্রথমবারের মতো দলে জায়গা পেয়েছেন ১০ ফুটবলার। দল নিয়ে কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘আমিরাতের বিপক্ষে দলটা বেশ তরুণ ও অনভিজ্ঞ। তাদের গেম টাইম প্রয়োজন। তারা ভুল করবে। সবারই ভুল হয়। সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে তারা।’ কি কারণে সাবিনা খাতুনসহ আট ফুটবলারকে কেন দলে নেওয়া হয়নি সেটা জানাতে পারেনি কেউ। আদৌ কি জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন তারা সেই নিশ্চয়তাও নেই। সবমিলিয়ে মেয়েদের নিয়ে সমস্যা কি কমেছে কিনা সেটাও পরিস্কার হচ্ছেনা।

বাংলাদেশ দল
গোলকিপার: ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মেঘলা রানী রায়। ডিফেন্ডার: কোহাতি কিসকু, জয়নব বিবি রিতা, আফঈদা খন্দকার, সুরমা জান্নাত, সুলতানা, কানোম আক্তার, অপির্তা বিশ্বাস অর্পিতা, মরিয়ম বিনতে হান্না। মিডফিল্ডার: হালিমা আক্তার, স্বপ্না রানী, মুনকি আক্তার, বন্যা খাতুন। ফরোয়ার্ড: আইরিন খাতুন, আকলিমা খাতুন, শাহেদা আক্তার রিপা, অয়ন্ত।
২৪ঘণ্টা/আসো 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন