২৪ঘণ্টা অনলাইন : বিয়ে মানে এখন শুধুই দুটো মানুষের মধ্যে সারা জীবনের বন্ধন নয়। এখন বিয়ের বহর দিয়ে বিচার করা হয় কার সমাজে কী অবস্থান। তবে এই প্রচলন তৈরি হওয়ার পিছনে বলিউডের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালে বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার বিয়ের সময় থেকে শুরু হয়েছিল এই রীতি। ইতালির তাস্কানিতে গিয়ে বিয়ে করে চমকে দিয়েছিলেন তাঁরা। তার পর থেকেই শুরু হয় ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর রমরমা। তবে ২০০৭ সালে ঐশ্বর্যা রাই ও অভিষেক বচ্চনের বিয়েতেও ছিল নানা চমক। সম্প্রতি বলিউডের ‘হেভি ওয়েট’ বিয়ে নিয়ে সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন ডিজে আকিল।
ঐশ্বর্যা-অভিষেকের বিয়ের সঙ্গীত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিল। আতিশয্যে ভরা বিয়ে নিয়ে নানা কথা বলেছেন তিনি। সইফ আলি খান ও করিনা কপূরের বিয়েতেও ডিজে (ডিস্ক জকি) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কিন্তু সইফ-করিনার বিয়ে তুলনায় অনেকটাই ঘরোয়া ছিল বলে জানিয়েছেন আকিল। তাঁর কথায়, “সইফ-করিনার সঙ্গীত অনুষ্ঠানে বিশেষ আড়ম্বর ছিল না। তাজ হোটেলে খুব ঘনিষ্ঠ কয়েক জন উপস্থিত ছিলেন। অভিষেকের বিয়ের সঙ্গীত অনুষ্ঠান হয়েছিল ওঁর জুহুর বাড়িতে। তবে দু’টি সঙ্গীত অনুষ্ঠানেই আমরা খুব আনন্দ করেছিলাম।” দুই দম্পতির সঙ্গীত অনুষ্ঠান নিয়ে আকিল বলেছেন, “ওঁরা সকলেই আমার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। তাই খুবই স্বচ্ছন্দ বোধ করেছিলাম। ওঁরা আমার বিয়েতে এসেও যথেষ্ট আনন্দ করেছিল।”
গত বছর অনন্ত অম্বানী ও রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গীত অনুষ্ঠানেও ডিজে-র ভূমিকা পালন করেছেন আকিল। সেই বিয়ের আড়ম্বর নিয়ে তিনি বলেছেন, “ওদের আসরে মোট ১৩টা মঞ্চ ছিল। আমি সেই মঞ্চগুলির মধ্যে একটিতে ছিলাম। সত্যিই খুব মজা হয়েছিল। অসংখ্য শিল্পীর সঙ্গে টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। কে ছিলেন না সেই দিন? সকলেই উপস্থিত ছিলেন প্রায়। কিন্তু সমাজমাধ্যমে কিছু ভাগ করে নিতে পারিনি, কারণ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছিলাম। কিছু পোস্ট করলেই ওঁরা আইনি পদক্ষেপ করত আমার বিরুদ্ধে।
২৪ঘণ্টা/আসো