২৪ ঘণ্টা অনলাইন : খাদ্য মন্ত্রণালয়ে থাকার সময় অতিরিক্ত সচিব জিয়া উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে অনৈতিক অর্থ দাবি ও হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব রোকেয়া বেগম। কমিটির সদস্য সচিব সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম নোমান হাসান খান। তদন্ত কমিটিকে সব প্রাসঙ্গিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে তদন্ত কাজ পরিচালনা করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। জিয়া উদ্দীন বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে থাকার সময় জিয়া উদ্দীনের বিরুদ্ধে বগুড়ার শিবগঞ্জের রূপসী ফ্লাওয়ার রাইস অ্যান্ড পুষ্টি মিলের মালিক মো. মহিদুল হক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অভিযোগ দেন।
অভিযোগে তিনি লেখেন, আমার রুপসী ফ্লাওয়ার, রাইস অ্যান্ড পুষ্টি মিলটি খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত পেষণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্লাওয়ার মিল। জেলা প্রশাসক, বগুড়া গত ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর সরকারি অর্থ সাশ্রয়ের স্বার্থে আমার ফ্লাওয়ার মিলটি বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার ও কাহালু পৌরসভার ওএমএসের একক পেষণ ক্ষমতা প্রদানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাবর পত্র প্রেরণ করি। তিনি আরও লিখেছেন, সেই প্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক, বগুড়া গত ৯ জানুয়ারি শিবগঞ্জ ও কাহালু পৌরসভার পেষণ ক্ষমতা প্রদানের সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। উল্লেখিত বিষয়াদিসহ অনুমোদনের জন্য নথিটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষরের জন্য উপস্থাপিত হলে নথিটি স্বাক্ষর না করে আমার নিকটাত্মীয় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মীর শাহে আলমকে সচিবালয়ে ডেকে নিয়ে অনুমোদনের শর্তে ২০ লাখ টাকা অনৈতিক দাবি করেন। তিনি টাকা না দেওয়ায় জিয়া উদ্দীন এ সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন দেননি, উল্টো আবারও তদন্তের জন্য পাঠান। তদন্তে তার পক্ষে সুপারিশ দেওয়া হলেও সেটা অতিরিক্ত সচিব না মেনে তাকে পরবর্তী সময়ে আরও হয়রানি করেন বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশনা দেন। এরপরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
