বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ইফতারে জিলাপি-মিষ্টি খাওয়া কী ঠিক, যা জানা গেল

প্রকাশিত - ১০ মার্চ, ২০২৫   ১০:৩৩ পিএম
webnews24

২৪ ঘণ্টা অনলাইন : শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে সেহরি খাওয়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে সিয়াম পালন করেন। ইফতারে স্বাস্থ্যকর ও তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ধরনের খাবার রাখা হয় খাদ্যতালিকায়। ইফতারে থাকা খাবারগুলো থাকে সবার পছন্দের।

এদিকে রমজানে অনেকেই ইফতারে মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখেন। কেউ জিলাপি, কেউ বুন্দিয়া, কেউ মিষ্টি, কেউ সেমাই বা পায়েস, আবার কেউ মিষ্টিজাতীয় অন্যান্য খাবার রাখেন। মূলত পছন্দের খাবার খাওয়ার কারণেই ইফতারে এসব খাবার রাখা হয়। এতে ইফতারের আনন্দ আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

সাধারণ পরিচিত মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন―জিলাপি, বুন্দিয়া ও অন্যান্য মিষ্টিজাতীয় খাবার ময়দা, চিনি, তেল, ঘি ও বাদাম দিয়ে তৈরি করা হয়। এসব উপাদান ব্যবহার করা নিয়ে অনেকেই দাবি করেন, ইফতারে মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখা ঠিক নয়। আবার যারা এসব খাবার পছন্দ করেন, তারা এর পক্ষে যুক্তি দেখান। ইফতারে মিষ্টি খাওয়া ঠিক কিনা, এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নেসলে ফ্যামিলি।

প্রতিদিন মিষ্টি খাওয়া কী ঠিক: হ্যাঁ, প্রতিদিন মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই। অবশ্যই তা পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। তবে কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। মিষ্টি খাওয়া কী স্বাস্থ্যকর: মিষ্টিতে যদি ন্যূনতম পরিমাণ ফ্যাট এবং কম ক্যালোরি রাখা হয়, তাহলে মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এ জন্য মিষ্টি খাওয়ার আগে এর ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ নিয়ে ভাবতে হবে। তবে মিষ্টি তৈরির উপাদান দেখে খাওয়া হলে ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে।

মিষ্টিতে ফ্যাট ও ক্যালোরি কমাতে করণীয়: ক্রিম দিয়ে কুনাফা তৈরি বা কেনার পরিবর্তে চর্বিযুক্ত পনির দিয়ে মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। তবে তা চিনির সুরায় ভেজানো যাবে না। তৈরির সময় কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবহার করুন। মাখন ও ঘি’র ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে ভুট্টা, সূর্যমুখী বা ক্যানোলা তেল অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেন।

কেক বা পুডিংয়ে মধু বা ক্রিম ব্যবহারের পরিবর্তে কম ক্যালোরিযুক্ত চিনি ব্যবহার করুন। ভাজা কাতায়েফের পরিবর্তে গ্রিলড বা কাঁচা কাতায়েফ নিন। কেক ও পুডিংয়ে বাদাম দেয়ার পরিমাণ কম রাখার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে দারুচিনি গুঁড়ো ব্যবহার করুন। চিনির সুরা বা আইসিং না দেয়াই ভালো।ইফতারের পর কী মিষ্টি খাওয়া যাবে: ইফতারের পরপরই মিষ্টি খেলে পাকস্থলীর আকার বেড়ে যাবে। আবার খাবার হজমেও সমস্যা হতে পারে। এ থেকে রক্তে শর্করার মাত্রা উঠানামা করার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে ইফতারের ২-৩ ঘণ্টা পর মিষ্টি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। মিষ্টি খেলে ৩-৪টির পরিবর্তে অল্প পরিমাণ খেতে পারেন। এতে মিষ্টির পূর্ণ স্বাদ পাবেন।
২৪ ঘণ্টা/এআর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন