শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

বিএসএমএমইউতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপর সিএমই অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত - ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫   ১০:৪৫ পিএম
webnews24

২৪ঘন্টা অনলাইন : চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে গবেষণা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কন্টিনিউয়িং মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই) সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকাল ১০টায় বিএসএমএমইউ’র অধ্যাপক কামরুল ইসলাম সেমিনার হলে সেমিনারটি শুরু হয়, যেখানে দেশবিদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ও গবেষকরা অংশগ্রহণ করেন।

সেশনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া মেডিকেল কলেজ এবং অগাস্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং ব্লাড অ্যান্ড ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ও সেলুলার থেরাপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক মিয়া।

তার বক্তব্যে তিনি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের গুরুত্ব, এর বিভিন্ন পর্যায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে গবেষণা পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।পাশাপাশি, তিনি নতুন ওষুধ ও থেরাপির কার্যকারিতা প্রমাণে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ভূমিকা নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ’র ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ শাকুর।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা গবেষণার অগ্রগতির জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অপরিহার্য। আমাদের চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণায় অংশগ্রহণ করতে হবে; যাতে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত হয়।’

বিএসএমএমইউ’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোলাম নবিরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের (বিএসপিএমআর) নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ডা. তসলিম উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ’র সাবেক প্রোভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান।

এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের (বিএসপিএমআর) সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক ডা. এম এ কে আজাদ।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারীরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের গুরুত্ব এবং এর বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য সেমিনারটির প্রশংসা করেন। তারা ভবিষ্যতে আরও এ ধরনের সিএমই সেশন আয়োজনের আহ্বান জানান, যা চিকিৎসকদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ প্রদান করবে।

সেই সঙ্গে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন যে এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের চিকিৎসা গবেষণাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নিতে অব্যাহত থাকবে।
২৪ঘন্টা/এআর

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন