শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

ট্রুডোর স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের ডাকে ব্যাপক সাড়া কানাডিয়ানদের  

প্রকাশিত - ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫   ০৭:২৭ পিএম
webnews24

মৃণাল বন্দ্য, কানাডা থেকে : মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা। সাথে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজ দেশের জনগণকে আহবান জানিয়েছেন স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের জন্য। এতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। কানাডা জুড়ে চলছে স্বদেশী পণ্য কেনা নিয়ে ব্যাপক ক্যাম্পিং। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অন্যকে উৎসাহ যোগাচ্ছেন। কানাডার কোন ব্র্যান্ডের কি পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে পোষ্ট দিচ্ছেন । বিভিন্ন স্টোরগুলো আলাদা করে সাজাচ্ছে কানাডিয়ান প্রোডাক্ট। আমেরিকান পণ্য বয়কটের কথা সরাসরি না বললেও ট্রুডো যে এটাই বুঝিয়েছেন তা বুঝতে দেরি হয়নি সাধারণ জনগণের। এর আগে কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

ট্রুডো বলেছেন, ‘কানাডা এবার ১৫৫ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের মার্কিন আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে, এর মধ্যে ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের শুল্ক মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে এবং বাকি অংশ ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে।’

ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক মূলত ফেন্টানিল প্রবাহ কমানোর উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে, সাংবাদিকদের এই উক্তির জবাবে ট্রুডো বলেন, ‘মার্কিন-কানাডা সীমান্ত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও নিরাপদ সীমান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ফেন্টানিলের ১ শতাংশেরও কম কানাডা থেকে আসে। এমনকি অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যেও ১ শতাংশেরও কম কানাডা থেকে আসে।’

এদিন ট্রুডো সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেন, যেগুলোতে শুল্ক বসতে যাচ্ছে। এর মধ্যে আমেরিকান বিয়ার, ওয়াইন, বারবন, ফলমূল ও ফলের রস (বিশেষ করে কমলার রস), শাকসবজি, পারফিউম, পোশাক ও জুতা, গৃহস্থালি সরঞ্জাম, খেলাধুলার সামগ্রী ও আসবাবপত্র, কাঠ ও প্লাস্টিকের মতো উপকরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এর আগে এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কানাডার জ্বালানি পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে এই শুল্ক ১০ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে অবৈধ অভিবাসন ও মাদকের ‘বড় ধরনের হুমকি’ উল্লেখ করে তিনি চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপরও অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন শুল্কের আওতায় রয়েছে। আর এসব শুল্ক ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ট্রাম্পের এই ঘোষনার পরে বেশ কয়েকবার তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ট্রাম্প সাড়া দেননি। এবার ট্রুডোর ঘোষনার পরে আর কানাডার সাধারণ মানুষের আমেরিকার পণ্য এবং ট্রুরিজম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় ট্রাম্প নিজে থেকে কথা বলতে চেয়েছেন। সোমবার সকালেই কথা হতে পারে দুই দেশের সরকার প্রধানের। সবার দৃষ্টি আজ বোধকরি সেদিকেই থাকবে। 
২৪ঘণ্টা/আসো

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন