শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

শীতে কি আসলেই প্রেশারের সমস্যা বাড়ে, যা জানালেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

প্রকাশিত - ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫   ০৯:১১ পিএম
webnews24

২৪ঘন্টা অনলাইন : শীতের সময় তাপমাত্রা কম থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। দিনের বেলায় কিছুটা কম শীত অনুভব করলেও সন্ধ্যা বাড়তেই ঠান্ডা বেশি তীব্র হতে থাকে। এ সময় গরম ও মোটা কাপড় জড়াতে হয় গায়ে। আর যদি ঠান্ডা বাতাস বয়ে বেড়ায়, তাহলে সতর্কতার বিকল্প নেই।

এদিকে শীতের আবহাওয়া শুরু হওয়ার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের অনেককেই বলতে দেখা যায়, শীত এলে ব্লাড প্রেশার বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি শীতে রক্তচাপের সমস্যা বাড়ে? এ নিয়ে যখন নানা বিতর্ক, তখন বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রুদ্রজিৎ পাল। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

শীতে কি প্রেশার বাড়ে: এ ব্যাপারে চিকিৎসক রুদ্রজিৎ পাল বলেন, শীতের সময় অবশ্যই প্রেশার বাড়ে। নার্ভ ও হরমোনজনিত কারণেই প্রেশার বাড়ে। শীতের সময় নার্ভ সক্রিয় হয়ে পড়ে। আবার কিছু হরমোনও অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে পড়ে। এ কারণে রক্তনালী সংকুচিত হয়। রক্তনালী সংকুচিত হলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। কম-বেশি সবাই এই সমস্যায় ভুগেন। এ জন্য যাদের রক্তচাপজনিত সমস্যা রয়েছে এবং বয়স ৬০-এর অধিক, তাদের শীতে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।

নীরব ঘাতক: উচ্চ রক্তচাপ আগে থেকে কোনো লক্ষণ জানান দেয় না। তবে ভেতরে ভেতরে ক্ষতি করে। এ কারণে হার্ট, কিডনি, চোখ ও ব্রেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। আবার হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের মতো রোগ হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এ জন্য উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে।

কিছুদিন পরপর প্রেশার মাপা: প্রেশারের সমস্যা থাকলে কিছুদিন পরপর তা মেপে দেখতে হবে। কিন্তু অনেকেই প্রেশার মাপাকে অবহেলা করেন। ফলে সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণেই একাধিক জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শীত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। এতে কোনো বড় ধরনের সমস্যা থাকলে তা আগেই বোঝা যাবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নেয়া সহজ হবে। এতে জীবনযাপনও অনেক পরিবর্তন হবে।

বাইরের খাবার নয়: শীতের সময় রাস্তায় রকমারি খাবারের দেখা মিলে। মুখরোচক কত ধরনের খাবার দেখা যায়। যা প্রায়ই খাওয়া হয় আমাদের। অথচ এসব খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এসব খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, যা প্রেশার বাড়াতে সহায়তা করে। আবার বাসা-বাড়ির খাবারে লবণ ব্যবহার করলে তাতেও খেয়াল রাখতে হবে। লবণ-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া যাবে না। কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও বাদ দিতে হবে।

অবশ্যই ব্যায়াম: গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় প্রেশারকে। এ জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করার কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি করা, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো যেতে পারে। এসব চর্চায় সহজেই সুগার কমবে।
২৪ঘন্টা/এআর

 

ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন
ওয়েব নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

আরও পড়ুন